জাতীয় সরকার গঠন করে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবেন তারেক রহমান : আমীর খসরু

জাতীয় সরকার গঠন করে সবার মতামতের ভিত্তিতে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। নির্বাচনের পর তারেক রহমান জাতীয় সরকারের গঠন করে সবার মতামতের ভিত্তিতে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবেন। আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতৃবৃন্দের আয়োজনে “বাংলাদেশের গণতান্ত্রায়ণ ও উন্নয়নে বহিঃবিশ্ব বিএনপির ভূমিকা বিয়ষক”এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলন ড্রাইভ করেছে বিএনপি। এই আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিলো তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া। যারা এই আন্দোলনের কৃতিত্ব নিয়ে যারা কথা বলছে, তাদের প্রবাসীদের আন্দোলন গুলো দেখে উচিত ও প্রবাসীরা শেখ হাসিনার পতনের জন্য কাজ করেছে এবং এই আন্দোলনের অন্যতম অংশীদার।’

তিনি বলেন, ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধারা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে যুদ্ধ করেছে, আবার জুলাই আন্দোলনে রেমিট্যান্স বন্ধ করেও যুদ্ধ করেছে। আমি প্রবাসীদের এই অবদানের জন্য একটা অনুরোধ করব। সেটি হলো- শেখ হাসিনার পতনের পেছনে আপনাদের (প্রবাসী) যে অবদান, সেটিকে আপনারা একটি ডকুমেন্ট হিসেবে তৈরী করুন এবং একটি বই তৈরী করুন। এই আন্দোলনের কৃতিত্ব নিয়ে যারা কথা বলছে, তাদের প্রবাসীদের আন্দোলন গুলো দেখা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘হাসিনার পতনের কৃতিত্ব, অবদান ও ত্যাগ অনেক বেশি।কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা তা অনুধাবন করতে পারি নি। যারা প্রবাসে থেকে হাসিনার পতনের জন্য বিদেশের মাটিতে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করেছেন। তার জন্য অনেকের ব্যবসা ও চাকরীবাদ দিয়ে দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা লড়াই করেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বিএনপির প্রবাসী ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ ও বিশ্বজুড়ে হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন ও প্রতিরোধ করেছেন। অতীতে আওয়ামী লীগ ভুলে গিয়েছিল দেশের সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়।

তারা ভুলে গেছিল জনগণের কাছে তারা দ্বায়বদ্ধ। আগামী দিনে যেন গণতন্ত্রের বিপক্ষের কোনো শক্তি তৈরী না হয়। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলছি দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জণগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনী সংস্কারের জন্য যতটুকু প্রয়োজন তা করুন।’ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ বলেন, ‘প্রবাসীরা এদেশের মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমিক। প্রবাসী ও গার্মেন্স শ্রমিকরা এই দেশের অর্থনীতির মূল ফোর্স। তারা যদি শ্রম দেওয়া বন্ধ করে দেয় তাহলে এদেশে লালবাতি জ্বলে যাবে। তারাই এই দেশে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। প্রবাসে বাংলাদেশের প্রায় ২ কোটি মানুষ আছে। তাদের প্রতিনিধিত্ব জাতীয় সংসদের দরকার।’

তিনি আরো বলেন, ‘হাসিনার শাসন আমলে যে ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়েছে তা এখনও আছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। অতিদ্রুত নির্বাচনে আয়োজন করা উচিত, না হলে জনগণ যদি কয়েকদিন পরে বলতে শুরু করে আগেই ভালো ছিলাম তা আমাদের জন্য লজ্জাজনক হবে।’

আলোচনা সভা পরিচালনা করেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র শাখা বিএনপির সাবেক সভাপতি গিয়াস আহমেদ ও অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট। এছাড়াও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নাদিম চৌধুরী, নিউজার্সি বিএনপির নেতা সোলেমান, আস্ট্রেলিয়ার বিএনপির নেতা আরিফ হাওলাদার, ইতালি বিএনপির নেতা মনোয়ার সরকার, মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফখরুদ্দীন, সুইডেন বিএনপির নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ ঝন্টু প্রমুখ।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *