সবার সঙ্গে লেগে যাচ্ছে তামিম

বদ্দা চেতি গেছে! চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় অনেকে তামিম ইকবালকে নিয়ে এমন মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। হঠাৎই তামিম মেজাজ হারিয়ে তর্কে জড়াচ্ছেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। দেশি, বিদেশি, সতীর্থ, প্রতিপক্ষ—সবার সঙ্গে প্রায়ই লেগে যাচ্ছে বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ওপেনারের। যেটা বাকি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে কমই হচ্ছে। ৯ জানুয়ারি অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে ম্যাচ শেষে লেগে যায় তামিমের। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশাল-রংপুর রাইডার্স ম্যাচ শেষে তামিম তেড়ে যান হেলসের দিকে। তামিমের অভিযোগ ছিল, রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটার হেলসের বাজে মুখভঙ্গি ও তাঁর দলের এক তরুণ ক্রিকেটারকে স্লেজ করার কারণেই নাকি তিনি মেজাজ হারিয়েছেন। তামিম-হেলসকে সামলাতে রংপুরের টিম ডিরেক্টর, অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকেও এগিয়ে আসতে হয়েছিল তখন। পরে হেলস দাবি করেন, তামিম তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন।

হেলসের দিকে তেড়ে যাওয়ায় তামিমের নামের পাশে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট জুটেছে। পাশাপাশি সতর্কও করা হয়েছে বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটারকে। তবে সেটা থেকে কি তিনি শোধরাতে পেরেছেন? চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তামিম আক্রমণাত্মক ও আপত্তিকর ভাষায় শাসিয়েছেন ঢাকা ক্যাপিটালের সাব্বির রহমানকে। তামিমকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার সঙ্গে লাগতে আইসো না।’ স্টাম্প মাইকে তামিমের ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য কথাও ধরা পড়ে। ঘটনার সময় সাব্বির মাথা গরম করতে গিয়েও নিজেকে সামলেছেন। স্টাম্প মাইকের সৌজন্যে তামিমের কথাগুলো ভাইরালও হয়েছে।

হেলস, সাব্বির প্রতিপক্ষ ক্রিকেটার। তামিম মেজাজ হারিয়েছেন সতীর্থ ডেভিড মালানের ওপরও। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গতকাল চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ভুল–বোঝাবুঝিতে রানআউট হওয়ার পর দেখা গেছে তামিমকে মেজাজ হারাতে। মালানকেও এরপর উত্তেজিত হতে দেখা গেছে। তামিম আজ বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, মালানের সঙ্গে কোনো ঝামেলাই হয়নি তাঁর (তামিম)।

তামিমের যুক্তি, ‘এ রকম অনেক সময়ই অনেকে টিভিতে দুই-একটি দৃশ্য দেখে নানা রকম ধারণা করে ফেলেন। গত কয়েক দিনে আমাকে নিয়েও এ রকম হয়েছে। কিন্তু কোনো ঘটনা তো হুট করে হয় না। এটার পেছনেও অনেক ঘটনা থাকে।’ যা-ই ঘটুক, মাঠের পারফরম্যান্সের চেয়ে এসব ঘটনায় বেশি আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছেন তামিম।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *