লক্ষ্য পণ্য রপ্তানি ও উদ্যোক্তা তৈরি

ড. মিহির কুমার রায়: গত ১ জানুয়ারি রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরে ৪নম্বর সেক্টরের স্থায়ী ভেন্যু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিউশন সেন্টারে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৯তম আসর। এ কারণে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা উদ্বোধন করেন। এবার মেলার প্রধান প্রবেশদ্বার ‘৩৬ জুলাই’-এর স্মৃতির আদলে তৈরি করা হয়েছে। প্রধান প্রবেশদ্বারের পূর্ব পাশে ‘৩৬ জুলাই’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের প্রতি সম্মান রেখে তৈরি করা হয়েছে শহীদ আবু সাঈদ কর্নার এবং মূল ভবনের উত্তর পাশে রয়েছে মুগ্ধ কর্নার। মূল ভবনের ভেতরে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন। প্রতি বছরের মতো এবারও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি যৌথভাবে মেলার আয়োজন করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সম্মানার্থে তৈরি করা হয়েছে ‘জুলাই চত্বর’ ও ‘ছত্রিশ চত্বর’। দেশের তরুণ সমাজকে রপ্তানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধ করতে তৈরি করা হয়েছে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেছেন, ‘উদ্যোক্তা হবার শক্তি মেলার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে ভবিষ্যতের মেলা হবে সারা দেশ জুড়ে জায়গায় জায়গায় এবং ঢাকায় হবে কেন্দ্রীয়ভাবে চূড়ান্ত মেলা। তরুণদের জন্য আমরা সুযোগ তৈরি করে দেব। মেলার প্রস্তুতি সারা বছর ধরে চলবে জেলা-উপজেলায়। সেখান থেকে বাছাই করা হবে চূড়ান্ত পর্যায়ে মেলায় কারা অংশগ্রহণ করবে। ঢাকার মেলায় একজন আর একজনকে দেখে শিখবে, বুঝবে এবং বুদ্ধি নেবে।’ বাংলাদেশের তরুণরা সম্ভাবনাময় ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘অনেক তরুণ-তরুণী কৃষি, হস্তশিল্প, কুটির শিল্প, আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসায় ভালো করছে। আন্তর্জাতিক ব্যবসা করছে- ঘরে বসে সফটওয়্যার তৈরি করে বিক্রি করছে। কাজেই প্রত্যেক উপজেলায় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৩ থেকে ৪ জনকে চিহ্নিত করে তাদের তালিকা করা হবে চূড়ান্ত পর্যায়ে অংশগ্রহণের জন্য। সারা দেশ থেকে তরুণরা দলে দলে তাদের দেখতে আসবে। বিদেশ থেকেও আসবে। ঢাকায় মেলায় একজন আরেকজনকে দেখে উৎসাহ পাবে। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্যায়ে অংশগ্রহণকারীরা কেবল বাংলাদেশের সেরা না, তাদের মধ্যে অনেকে দুনিয়ারও সেরা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপজেলা থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চূড়ান্ত পর্যায়ে আসা তরুণদের ব্যয় সরকার বহন করবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাদের সমস্ত খরচ সরকার বহন করবে, কারণ, তারা আমাদের পথ প্রদর্শক। তারা জাতিকে পথ প্রদর্শন করবে। দুনিয়াকে পথ প্রদর্শন করবে। অন্যরা তাদের দেখে শিখবে, বিনিয়োগ করতে আসবে। এখানে বিনিয়োগকারীরা আসবে জানার জন্য, বোঝার জন্য- কোনো ব্যবসাটা তার জন্য ভালো হবে। উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে টাকার অভাব কোনো বাধা নয় উল্লেখ করে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘টাকা নেই, এটা কোনো বিষয় না- বুদ্ধি থাকলে টাকা উপার্জন করা যায়। কাজেই আমরা চাই আমাদের তরুণ তরুণী, বয়স্ক-বয়স্কা সবাই যেন উদ্যোক্তা হবার শক্তি এই মেলার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে পারে। তাহলে এই মেলা সবার জীবনে বড় ধরনের প্রভাব রেখে যাবে আমাদের জন্য।’

বাংলাদেশ একটা অপূর্ব সুযোগের দেশ উল্লেখ করে সরকার প্রধান আরও বলেন, আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি ১৭ কোটি মানুষের একটি দেশ। এর মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ তরতাজা তরুণ-তরুণী। এরকম শক্তি খুব বেশি দেশের কপালে নেই। এ কারণে বারে বারে বলছি, এই তারুণ্য শক্তিকে উন্মোচিত করার কথা। তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা। আরেকটা বিষয় বারে বারে দৃষ্টি আকর্ষণ করি- মানুষ মাত্রই উদ্যোক্তা, শ্রমিক নয়। অন্যের হুকুমে কোনো কিছু সৃষ্টি করা মানুষের পথ না। মানুষের পথ হলো নিজে সৃষ্টি করা। নিজের চিন্তায় নিজের ভাবনায় যেটা আসে, সেটা তৈরি করা। এই মেলা আমাদের সেই সুযোগ করে দেয়। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় তরুণদের জন্য আলাদা জায়গা রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বাণিজ্যমেলার একাংশ তরুণদের জন্য থাকবে, এখানে ২৫ বছরের নিচে হতে হবে এ রকম একটা শর্ত দিয়ে দেওয়া যেতে পারে। ২৫ বছরের নিচে যারা তারা এখানে কেউ আসবে অন্যের কাছ থেকে শিখতে, আবার কেউ আসবে অন্যকে শেখাতে। তরুণদের পাশাপাশি তরুণীরা ভালো ভালো ব্যবসা পরিচালনা করছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, অনেক তরুণী রয়েছে যারা অসংখ্য কাজ করে। ঘরে বসে শাড়ি বিক্রি করে। গৃহিণী চার-পাঁচ বাচ্চার মা ব্যবসা করে, ঘরে বসে রান্না করে খাবার সরবরাহ করে। অর্ডার দিলে ঠিক সেই আইটেমগুলো রান্না করে সরবরাহ করছে। চমৎকার বুদ্ধি খাটিয়ে এ ধরনের ব্যবসাবাণিজ্য যারা করছে- তাদের কাজ তুলে ধরতে হবে।

অধ্যাপক ইউনূস সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবন ও রপ্তানি সমৃদ্ধ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, রপ্তানি পণ্যের মান উন্নয়নে সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে আরও জোরদার, প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দ্রুততার সঙ্গে সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। প্রধান উপদেষ্টা ফার্নিচার পণ্যকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তিনি বর্ষ উদ্যোক্তা ঘোষণা করার বিষয়ে তাঁর অভিপ্রায়ের কথা উল্লেখ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (চলতি দায়িত্ব) আব্দুর রহিম খান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস- চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

এবারের বাণিজ্যমেলায় বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া নিয়ে আটটি দেশের ব্যবসায়ীরা অংশ নিচ্ছেন। মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে থাকছে ৩৬২টি স্টল। বিদেশিদের জন্যও স্টল রাখা হয়েছে। মেলার টিকিটের মূল্য (জনপ্রতি) ৫০ টাকা (প্রাপ্তবয়স্ক) এবং শিশুদের (১২ বছরের নিচে) ক্ষেত্রে ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীরা তাদের কার্ড প্রদর্শন করে বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। মেলা আগের মতোই সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। এবারের মেলায় প্রথমবারের মতো অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল ও প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় প্রথমবারের মতো থাকছে ই-টিকিটিংয়ের ব্যবস্থা। দর্শনার্থীদের বসার জন্য থাকছে ৩টি সিটিং জোন। ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য থাকছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের একাধিক বুথ। শিশুদের জন্য থাকছে ডিজিটাল শিশু পার্ক। মেলায় যাতে কোনো প্রকার সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেজন্য ২৩৪টি সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি রয়েছে ৫টি ওয়াচ টাওয়ার। পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এ বছর মোতায়েন করেছে বিআরটিসির দুই শতাধিক বাস। বাণিজ্যমেলায় আসা দর্শনার্থীদের জন্য কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। এছাড়াও পাশাপাশি বিশেষ ছাড়ে থাকছে উবার সার্ভিস। কুড়িল বিশ্বরোড, ফার্মগেট (খেজুরবাগান/খামারবাড়ী), নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বাণিজ্যমেলার উদ্দেশে বিআরটিসির ২০০টির বেশিমেলার জন্য নির্ধারিত শাটল বাস চলাচল করবে। মেলা প্রাঙ্গণ থেকে একই গন্তব্যে শাটল বাসের সর্বশেষ ট্রিপ ছাড়বে রাত ১১টায়।

তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায়ও ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীরা আসছেন। তবে তারা কেনাকাটার চেয়ে বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়ন ঘুরে ঘুরে পছন্দের পণ্য দেখে সময় পার করছেন। গত বছর মেলার উদ্বোধনের দিন ৩ হাজার ক্রেতা-দর্শনার্থী টিকিট কেটে মেলায় প্রবেশ করেন। এবার মেলার উদ্বোধনের দিন গত ১ জানুয়ারি ১১ হাজার ৭৪৩ জন দর্শনার্থী টিকিট কেটে মেলায় প্রবেশ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবার ব্যবসা সফল মেলা হবে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। এখন ঘুরে ঘুরে পণ্য দেখলেও খুব শিগগিরই পুরোদমে শুরু হবে বেচাকেনাও। পারিপার্শ্বিক অবস্থা অনুকূলে থাকায় ব্যবসায়ীরা এবার লাভের আশা করছেন। মেলায় প্রবেশের টিকিট ইজারাদারের ডিজি ইনফোটেক লিমিটেডের হেড অব অপারেশন এসএম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার ২ জানুয়ারি বিকাল ৫টা পর্যন্ত টিকিট কেটে ৪ হাজার ৩৭২ জন দর্শনাথী মেলায় প্রবেশ করেছেন। এবার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, মেলার কিছু স্টল এখনো নির্মাণাধীন। শেষ মুহূর্তে কারিগররা স্টল নির্মাণে ব্যস্ত। হাতুরির টুং-টাং আওয়াজ বিদ্যমান। কারিগরদের কথা বলার সুযোগ নেই। কেউ কাঠ ও বোর্ড সাজাচ্ছেন। কেউ কাঠে তারকাটা মারছেন। কেউবা স্টল নির্মাণে বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর মাপ নিচ্ছেন। কথা বলার জন্য কারিগরদের ফুরসত নেই। মেলা প্রাঙ্গণ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন। এমন সুন্দর পরিবেশে দর্শনার্থীদের কেউ ছবি তুলছেন। কেউ ভিডিও লাইভে এসে স্বজনদের দেখাচ্ছেন। মনোমুগ্ধকর এই পরিবেশের স্থায়িত্ব চান ক্রেতা, বিক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। মেলার সীমানা ঘেঁষে অবস্থিত ঢাকা বাইপাস সড়ক ধুলি আর বালুতে পরিপূর্ণ। গাড়ি চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই অধিকাংশ স্টল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। শুরু থেকেই দোকানপাট সাজিয়ে বসছেন ব্যবসায়ীরা।

যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইল লিমিটেডের ম্যানেজার রাজিব সাহা বলেন, বিগত বছরের মতো এবারও বাণিজ্য মেলায় আমাদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী নিয়ে এসেছি। রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশন, মোটরসাইকেলের পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন সাইজের টেলিভিশন এবার মেলায় নিয়ে এসেছি। যমুনা ইলেকট্রনিক্স সব সময় ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে তাদের চাহিদার পণ্য বাজারে নিয়ে আসছে। বিদেশি যত উন্নতি প্রযুক্তি আছে, সেগুলো মাথায় রেখে আমাদের কোম্পানি নিজস্ব কারখানায় আধুনিক পণ্য তৈরি করছে। এছাড়া মেলায় যমুনার সব পণ্যের ওপর বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। মেলাকে প্রাণবন্ত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মেলার আয়োজক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মেলায় যে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭ শতাধিক পুলিশ। রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক দল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি গেট ইজারাদারের পক্ষ থেকেও থাকছে স্বেচ্ছাবেক দল। ভারত থেকে আসা শীতের কাপড় বিক্রির স্টলের কর্মচারী দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, স্টল ও প্যাভিলিয়নের কর্মচারীদের থাকা-খাওয়ার সমস্যা আছে। কম দামে খাবারের ব্যবস্থা করতে পারলে ভালো হতো। বাড়তি দাম এড়াতে কেউ কেউ বাইরে থেকে খাবার কিনে এনে খাচ্ছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) আবদুর রহিম খান বলেন, মেলা এলাকায় ধুলোবালুর সমস্যা সমাধানে প্রতিনিয়ত পানি দেওয়া হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিয়মিত কাজ করছেন। মেলার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পরিবেশ অনুকূলে থাকায় কেনাবেচার ধুম পড়বে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।

লেখক : অধ্যাপক (অর্থনীতি), সাবেক ডিন (ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ) ও সিন্ডিকেট সদস্য, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *