প্রশ্নঃ > এই যে খোকা নাম কী তোমার?
কোন ইশকুলে পাঠ?
উত্তরঃ > নাম ঘেঁটুরাম। লেখাপড়ায়? অই যে গড়ের মাঠ…!
ভর্তি হয়েছিলাম বটে
একখানা ইশকুলে,
দিন কাটাতাম এর পেছনে
ওর পেছনে ঝুলে।
পড়ার সময় পাইনি মোটে
ও দিয়ে কী হয়?
এখন সময় অশিক্ষিতের!
লেখাপড়ার নয়!!
তারপরেও পাশ দিয়েছি, বুঝলে কি না ডিয়ার?
ভর্তি হলাম ভার্ছিটিতে ‘অনাস সেকেন ডিয়ার’।
আমরা ক’জন হাবুল কাবুল
দেখতে ছিলাম বেশ!
টিএসসিতে দাঁড়িয়ে ছিলাম
করতে স্বাধীন দেশ!
দেশটা হঠাৎ স্বাধীন হলো। মিটিকুলাস কাকু–
হাবুল কাবুল আবুলদেরকে দিলেন একটা চাকু।
এই চাকুতে কাটা সহজ দেশের সকল কিছু
কাটি বংগএকাডেমি-শিল্প-কলা-লিচু!
কাটতে কাটতে হাত পাকালাম ধুমছে অতি দ্রুত
নিজের পারদর্শিতাতে আমোরা আপ্লুত!
এক সিটিঙে গাঞ্জা টানতে দক্ষ শতেক ছিলিম
কাটছি টিভি-সচিবালয়-এফডিসি আর ফিলিম!
বুঝছো কি না ডিয়ার?
দাপট কতো ভার্সিটির অই ‘অনাস সেকেন ডিয়ার’!
লেইখা পইড়া যায় না ছিঁড়ন
গাছের একটা পাতা,
পড়ার ঠ্যালায় মাথা গরম!
বিগড়ায়া যায় মাথা!
মিটিকুলাস কাকুর চাকুর ম্যাজিক চমেৎকার
পাঠ্যবইয়ের পাতা ছিঁড়ছি! চাকুর যে কী ধার!
সংবিধানটা কাইটা দিতে হায়ার করছে কাকু–
ভিনদেশি এক ডাকু…!
অটোয়া ২৯ জানুয়ারি ২০২৫